[উইন্ডোজ হিডেন ট্রিক] পিকচারের মধ্যে লুকিয়ে ফেলুন আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ভাইদের প্রতি রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম আমাদের সাধারণদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় একটি অপারেটিং সিস্টেম। আমরা অধিকাংশ জনগণই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে উইন্ডোজ-কে বেছে নিই এর সহজলভ্যতা ও ব্যবহারকারী-বান্ধব সিস্টেম এর জন্য। এই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে কিছু গোপন ট্রিক বা উপায় আছে যা সচারচর আমাদের জানা থাকে না, কিন্তু একবার জানতে পারলে কাজে লাগবেই। এমনই একটা ট্রিক আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আমার আজকের এই আর্টিকেল।
আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য অন্যদের হাত থেকে লুকিয়ে রাখার প্রয়োজন হয়। যেমন, আজকাল অনলাইনে আমরা নানারকম অ্যাকাউন্ট খুলে থাকি নানা স্বার্থে। এসকল অনেক অ্যাকাউন্টগুলোর পাসওয়ার্ড মনে রাখা সম্ভপর নয়, রাখলেও এলোমেলো হয়ে যায়। তাই সংরক্ষণ করতে লিখে রাখতে হয়। লিখে রাখলেও আবার আরেক ঝামেলা, তা লুকিয়ে রাখতে হয়। এজন্য অনেকে অনেক পদ্ধতি গ্রহণ করেন। আমিও আজ এ ধরণের একটি পদ্ধতি আপনাদের সামনে তুলে ধরব। এই পদ্ধতিটির মাধ্যমে হ্যাকাররা অনেক তথ্য লুকিয়ে রাখে বা আদান-প্রদান করে। পদ্ধতিটির মাধ্যমে একটি পিকচারেরমধ্যে লুকাতে পারবেন আপনার তথ্য। বাইরের অজানা লোকেদের কাছে একটা সাধারণ পিকচার মনে হবে। তো বিস্তারিতভাবে ধারণা দেয়ার জন্য অনেক বকবক করলাম, এখন আসল কাজে নেমে পড়ি।
***** ***** ***** ***** *****
যা প্রয়োজন হবেঃ
১. উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম পরচালিত পিসি।
২. একটি .jpg ফরমেটের পিকচার।
৩. Windows Command Prompt পরিচালনায় কমান্ডের ওপর বেসিক জ্ঞান। (যদিও না থাকলেও চলবে, সাহায্যের জন্য আমি তো রয়েছিই!)
যা প্রয়োজন হবেঃ
১. উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম পরচালিত পিসি।
২. একটি .jpg ফরমেটের পিকচার।
৩. Windows Command Prompt পরিচালনায় কমান্ডের ওপর বেসিক জ্ঞান। (যদিও না থাকলেও চলবে, সাহায্যের জন্য আমি তো রয়েছিই!)
***** ***** ***** ***** *****
***কার্যপদ্ধতি –
১. প্রথমে আপনার যে পিকচারের মধ্যে তথ্য লুকাবেন, সে পিকচারটির লোকেশনটা দেখে মনে রাখুন।
আমি আমার কাজের দ্বারা উদাহরণ দিচ্ছি। ধরুন, পিকাচারটি আপনার G ড্রাইভে বিদ্যমান এবং এর নাম হলো VintageLightHouse.jpg.
১. প্রথমে আপনার যে পিকচারের মধ্যে তথ্য লুকাবেন, সে পিকচারটির লোকেশনটা দেখে মনে রাখুন।
আমি আমার কাজের দ্বারা উদাহরণ দিচ্ছি। ধরুন, পিকাচারটি আপনার G ড্রাইভে বিদ্যমান এবং এর নাম হলো VintageLightHouse.jpg.
২. এবারে আপনার Command Prompt টা Administration পারমিশন দিয়ে চালু করুন। এটাও যদি নিজে নিজে করতে না পারেন, তাহলে কচু গাছের সাথে গলায় দড়ি দেয়ার আগে দেখে নিন।
Start মেনু-তে ক্লিক করুন, সার্চ করুন cmd লিখে।
সার্চের প্রথম রেজাল্টটির ওপর ডান ক্লিক করে Run as administrator সিলেক্ট করুন। পারমিশন চাইলে Ok দিন।
Start মেনু-তে ক্লিক করুন, সার্চ করুন cmd লিখে।
সার্চের প্রথম রেজাল্টটির ওপর ডান ক্লিক করে Run as administrator সিলেক্ট করুন। পারমিশন চাইলে Ok দিন।
৩. এবারে আপনার কমান্ডিং জ্ঞান কাজে লাগবে। Command Prompt এ ডিফল্ট লোকেশন সেট করা থাকে C:\Windows\system32. আমাদের এটাকে নিয়ে যেতে হবে যেখানে আপনার পিকচারটি অবস্থিত সেখানে। লোকেশন পরিবর্তন করতে আমাদের কমান্ড দিতে হবে- G: এরপর Enter প্রেস করতে হবে, যেহেতু আমার পিকচারটির লোকেশন G ড্রাইভে। আপনাদের পিকচারের লোকেশন অন্য কোথাও হলে এবং নিজে নিজে লোকেশন পরিবর্তন করতে না পারলে আমাকে কমেন্টে জানান, আমি সাহায্য করব।
পিকচারটির লোকেশনে Command Prompt-কে আনা হলে নিচের কমান্ডটি টাইপ করুন এবং Enter প্রেস করুন-
এটা আমার উদাহরণের ক্ষেত্রে। মূল কমান্ড স্ট্রাকচারটি নিম্মরূপ-
এখানে Picture’s_file_name.jpg হলো উক্ত পিকচারটির নাম যেটিতে তথ্য লুকাবেন। এবং text’s_file_name হলো একটি টেক্সট ফাইল যেটি অটোমেটিক তৈরি হবে উক্ত কমান্ডটি রান করানোর পর, যেখানে আপনি আপনার তথ্য লিখে রাখবেন।
পিকচারটির লোকেশনে Command Prompt-কে আনা হলে নিচের কমান্ডটি টাইপ করুন এবং Enter প্রেস করুন-
notepad VintageLightHouse.jpg:Hidden_info
এটা আমার উদাহরণের ক্ষেত্রে। মূল কমান্ড স্ট্রাকচারটি নিম্মরূপ-
notepad Picture's_file_name.jpg:text's_file_name
এখানে Picture’s_file_name.jpg হলো উক্ত পিকচারটির নাম যেটিতে তথ্য লুকাবেন। এবং text’s_file_name হলো একটি টেক্সট ফাইল যেটি অটোমেটিক তৈরি হবে উক্ত কমান্ডটি রান করানোর পর, যেখানে আপনি আপনার তথ্য লিখে রাখবেন।
৪. এবারে একটি কনফার্মেশন উইন্ডো আসবে যেখানে নতুন Notepad ওপেন করার পারমিশন চাইবে। Yes এ ক্লিক করুন। নতুন নোটপ্যাড চালু হবে; এখানে আপনি আপনার তথ্য লিখুন এবং Ctrl+S প্রেস করে অথবা File→Save সিলেক্ট করে সেভ করুন।
Notepad ক্লোজ করে দেখুন Windows Explorer-এ নতুন কোনো ফাইলের সৃষ্টি হয়নি।
৫.
এবারে পুনরায় ফাইলটি দেখতে হলে উক্ত কমান্ডটি আবার রান করান। অর্থাৎ, আবার সেই-
এইবারে কমান্ডটি অতি সাবধানে টাইপ করুন যাতে বানানে কোনো পার্থক্য না হয়। কেননা, এবারে যদি টেক্সট ফাইল নামের বানানে সামান্যতম ভুল হয় তাহলে পূর্বের ফাইলটির সাথে রিপ্লেস হয়ে নতুন নামের আরেকটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ফাইল তৈরি হয়ে যাবে যাতে আপনার পূর্বে সংরক্ষণ করা ফাইলটি সম্পূর্ণভাবে বিদায় নিবে। সতর্ক থাকুন।
এবারে পুনরায় ফাইলটি দেখতে হলে উক্ত কমান্ডটি আবার রান করান। অর্থাৎ, আবার সেই-
notepad VintageLightHouse.jpg:Hidden_info
এইবারে কমান্ডটি অতি সাবধানে টাইপ করুন যাতে বানানে কোনো পার্থক্য না হয়। কেননা, এবারে যদি টেক্সট ফাইল নামের বানানে সামান্যতম ভুল হয় তাহলে পূর্বের ফাইলটির সাথে রিপ্লেস হয়ে নতুন নামের আরেকটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ফাইল তৈরি হয়ে যাবে যাতে আপনার পূর্বে সংরক্ষণ করা ফাইলটি সম্পূর্ণভাবে বিদায় নিবে। সতর্ক থাকুন।
এতক্ষণে করা কাজটি শুধুমাত্র উইন্ডোজ পিসিতেই সমর্থন করে। উইন্ডোজের এই কার্যটির নাম হলো ADS বা Alternate Data Stream. এটি সম্পূর্ণভাবে উইন্ডোজ ডিস্কের ডিফল্ট ফরমেট NTFS-এ শুধু কাজ করে। আপনি যদি উক্ত পিকচার ফাইলটি NTFS ছাড়া অন্য কোনো ডিস্ক ফরমেটে, যেমন ধরুন FAT32-এ প্রবেশ করান তাহলে উক্ত হিডেন তথ্যবিশিষ্ট টেক্সট ফাইলটি ড্রপ্ করে নষ্ট করে ফেলে রেখে যাবে; কোনো কাজই হবে না। কোনো পেন-ড্রাইভে করে বহন করতে চাইলে পেন-ড্রাইভকে পূর্বে NTFS ফরমেটে ফরমেট করে নিতে হবে।
পোস্টটি ভালো না লাগলে দুঃখিত। কোনো ভুল পেলে দয়া করে জানাবেন, আমি অতি শীঘ্র তা সংশোধন করতে চেষ্টা করব; শুধু-শুধু কমেন্টে নিন্দনীয় ভাষা ব্যবহার করে নিজের বংশ সম্বন্ধে অন্যদেরকে খারাপ কিছু ভাবনার সুযোগ দিবেন না।
ধন্যবাদ।।।
No comments